Posts

মেয়র পদে ২০ বছর আলাস্কার বিড়াল স্টাবস

Image
আপনি কি কখনো শুনেছেন এমন এক শহরের গল্প, যেখানে মেয়রের চেয়ারে বসে আছে একটি কমলা রঙের বিড়াল? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! আলাস্কার ছোট্ট শহর টালকিটনার এই গল্প শুধু মজারই নয়, এটি হৃদয় ছুঁয়ে যায় এবং প্রমাণ করে যে কখনো কখনো সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত প্রাণীটিই একটি সম্প্রদায়ের প্রাণ হয়ে উঠতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক স্টাবস নামের এই বিড়ালের অসাধারণ গল্পে, যে ২০ বছর ধরে একটি শহরের "মেয়র" ছিল! একটি বিড়ালছানা থেকে শহরের নেতা ১৯৯৭ সালের কথা। আলাস্কার টালকিটনা, একটি ছোট্ট শহর যেখানে মাত্র ৯০০ জন মানুষ বাস করে। এই শহরের রাস্তায় তুষারের আস্তরণ আর চারপাশে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য। কিন্তু সেই বছর, শহরের মানুষ তাদের মেয়ের নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ কিছুতেই মেয়র নির্বাচনের প্রার্থীরা তাদের মনে ধরছে না। তখনই ঘটলো এক মজার ঘটনা। লরি স্টেক, যিনি শহরের জনপ্রিয় Nagley's General Store পরিচালনা করতেন, মজা করে বলে উঠলেন, “আমাদের মেয়র হওয়া উচিত আমার বিড়াল স্টাবস-এর।” স্টাবস তখন ছিল  কচি বিড়ালছানা, কমলা রঙের লোম আর দুষ্টু দুষ্টু চোখ নিয়ে দোকানের চারপাশে লাফালাফি করে বেড়াতো। ...

লোহার দৈত্যের মজার গল্প: ভারতের প্রথম ট্রেন

Image
যাত্রা ১৬ এপ্রিল, ১৮৫৩। বোম্বে থেকে থানে, মাত্র ৩৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায়। এই “আগুনের গাড়ি” শুধু লোহা আর কয়লার যন্ত্র ছিল না, এটি ছিল বিস্ময়, হাসি, আর কৌতূহলের এক উৎসব! স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া মজার গল্পগুলো আজও আমাদের হাসায় আর ট্রেনের প্রথম দিনের উত্তেজনা ফিরিয়ে আনে। চলুন, এই লোহার দৈত্যের কিছু হাস্যকর আর চমকপ্রদ গল্পে ডুব দিই! গোবর দিয়ে ট্রেন চলে? ট্রেনের উদ্বোধনের দিন বোম্বের কাছে এক গ্রামের মানুষ ভেবেছিল, এত বড় লোহার যন্ত্র চালাতে নিশ্চয়ই গরু-ছাগলের গোবর দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়! একদল গ্রামবাসী স্টেশনে হাজির হয়ে রেল কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করে বসল, “এই ট্রেন চালাতে কত গোবর লাগে?” কর্মকর্তারা হেসে ফেললেন আর বললেন, “গোবর নয়, এটা কয়লায় চলে!” গ্রামের লোকেরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করে হাসতে লাগল, আর একজন বলে উঠল, “তাহলে আমাদের গরুগুলো কাজে লাগল না!” এই গল্প ছড়িয়ে পড়ে, আর গ্রামে গ্রামে হাসির ঝড় ওঠে।দৈত্যের পেটে ভ্রমণথানের কাছে এক গ্রামের বৃদ্ধা তার ছেলেকে বারণ করেছিলেন, “ওই লোহার দৈত্য মানুষ গিলে ফেলে, ট্রেন...

ক্যালেন্ডারের কারসাজি: যেদিন সময় চুরি হলো আর হাসির হাট বসল!

Image
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার, যা জুলিয়াস সিজার ৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রবর্তন করেছিলেন, প্রতি চার বছরে একটি লিপ ইয়ার ধরে নিয়েছিল। এতে বছরের গড় দৈর্ঘ্য হতো ৩৬৫.২৫ দিন। কিন্তু প্রকৃত সৌর বছরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬৫.২৪২২ দিন। এই সামান্য পার্থক্য (প্রায় ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড) দীর্ঘ সময় ধরে জমা হয়ে ক্যালেন্ডারকে সৌর বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন করে তুলছিল। ফলে, গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব যেমন ইস্টার, যা বসন্তকালীন বিষুবের সঙ্গে সম্পর্কিত, ধীরে ধীরে ঋতুর থেকে সরে যাচ্ছিল। ১৫৮২ সাল নাগাদ এই ত্রুটির কারণে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার সৌর বছরের থেকে প্রায় ১০ দিন পিছিয়ে পড়েছিল।  সংশোধন: এই সমস্যা সমাধানের জন্য পোপ গ্রেগরি XIII গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। এই নতুন ক্যালেন্ডারে দুটি প্রধান পরিবর্তন আনা হয়: দিন বাদ দেওয়া: ক্যালেন্ডারকে সৌর বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে ১৫৮২ সালের অক্টোবরে ১০ দিন বাদ দেওয়া হয়। ৪ অক্টোবরের পরের দিন সরাসরি ১৫ অক্টোবর গণনা করা হয়। এর ফলে ক্যালেন্ডার আবার সঠিক ঋতু ও সৌর বছরের সঙ্গে মিলে যায়।  লিপ ইয়ারের নিয়ম সংশোধন: জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছরে লিপ ইয়ার ...